মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো 2024

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো 2024, ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো, ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার (Types of freelancing)

আচ্ছালামু আলাইকুম প্রিয় দর্শক - আজকের আইডিয়ার পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম। আজকে আমি আপনাদের মাঝে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো 2024 নিয়ে আলোচনা করব।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো 2024 সম্পর্কে আরো জানতে গুগলে সার্চ করতে পারেন অথবা আমাদের ওয়েব সাইটে অন্যান্য পোস্টগুলো পড়তে পারেন। তো চলুন আমাদের আজকের মূল বিষয়বস্তুগুলো এক নজরে পেজ সূচিপত্রতে দেখে নেয়া যাকঃ

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবোঃ বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন ইনকামের মাধ্যম হলো ফ্রিল্যান্সিং। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহালে আপনার একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ অবশ্যই থাকতে হবে। তাহালে যাদের কম্পিউটার বা ল্যাপটপ নেই তারা কি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবে না? উত্তর হলো হা অবশ্যই পারবে।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো 2024

আপনার চেষ্টার কাছে সব কিছুই হার মেনে যাবে। হা আজকে আমি আপনাদের সাথে বলবো মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় বা মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো কিভাবে করতে হয় সেই সম্পর্কে।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এই কথাটা শুনে আমাদের মধ্যে অনেকে হয়তো হাসাহাসি করবে। কিন্ত আসলে মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং এর কিছু কাজ করা সম্ভব। মনে রাখবেন সব কাজ করা সম্ভব না তবে, কিছু সংখ্যক কাজ করা সম্ভব। কম্পিউটার দিয়ে যে সকল কাজ গুলো আপনি খুব সহজে করতে পারবেন, সে কাজ গুলো মোবাইলের মাধ্যমে করতে বেশ কিছু সময় লাগবে। কি রাজি আছেন তো?

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

আজকে আমি আপনাকে বলবো মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় এমন ৫ টি কাজ সম্পর্কে। যে কাজ গুলো আপনি প্রফেশনাল ভাবেও করতে পারবেন। চলুন তাহালে শুরু করা যাক। 

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর যে কাজ গুলো করতে পারবেন (Freelancing whit mobile phone)

(১) কন্টেন্ট রাইটিং

আমরা প্রতিদিন মোবাইল দিয়ে বাংলা, ইংরেজিতে অনেক লেখালেখি করি। আপনি কি জানেন অনলাইনে লেখালিখি করে আপনি প্রতিমাসে ভালো পরিমানে ইনকাম করতে পারবেন। মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করার অন্যতম হলো কন্টেন্ট রাইটিং। আপনি কন্টেন্ট রাইটিং করে দেশি বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির কাছে লেখা গুলো বিক্রিয় করতে পারবেন। তবে, হা এটার জন্য আপনাকে ভালো মানের কন্টেন্ট রাইটিং শিখতে হবে।

মোবাইল দিয়ে কন্টেন্ট রাইটিং করার জনপ্রিয় কিছু অ্যাপস এর নাম উল্লেখ্য করছি যথা-

  1. Google Dose
  2. WPS office
  3. Microsoft office word

এগুলো মাধ্যমে আপনি খুব সহজে নিজের লেখা গুলো সংরক্ষন করে রাখতে পারবেন। আমি নিজে ও একজন ব্লগার কন্টেন্ট রাইটার এবং আমি google dose ব্যবহার করি।

(২) গ্রাফিক্স ডিজাইন

মোবাইল দিয়ে যদিও গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজ করা সম্ভব না। তবে, বর্তমানে এমন কিছু মোবাইল অ্যাপস পাওয়া যায় যেগুলোর মাধ্যমে আপনি মোটামোটি লেভেলের ইমেজ, লোগো ডিজাইন করতে পারবেন। এই সকল অ্যাপস গুলো ব্যবহার করা খুবই সোজা। আপনি দুই একবার দেখলে পারবেন। এই সকল অ্যাপের মাধ্যমে ডিজাইন করা লোগো, ফটো গুলো অনলাইন মার্কেটপ্লেসে বিক্রিয় করতে পারবেন এবং টাকা আয় করতে পারবেন। মোবাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইন করা যায় এমন কয়েকটি অ্যাপস এর নাম নিচে উল্লেখ করছি যথা-

(৩) ওয়েব ডিজাইন

ওয়েব ডিজাইন শেখার ব্যসিক হলো HTML এবং CSS. যা আপনি মোবাইল দিয়ে খুব সহজে শিখতে পারবেন। কিন্ত আপনি যখন এডভান্স লেভেলের ল্যাঙ্গুয়েজ শেখার কথা চিন্তা করবেন তখন অবশ্যই আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ প্রয়োজন হবে। এই দুইটি ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে আপনি ওয়েব ডিজাইন করতে পারবেন। ওয়েব ডিজাইন শেখার দুইটি জনপ্রিয় অ্যাপস হলো

  1. W3sSchools
  2. FreeCordCamp

এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি শিখে প্র্যাক্টিস করার জন্য আলদা অ্যাপস রয়েছে। যেগুলো আপনি Google Play store থেকে সম্পর্ন ফ্রিতে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। আমি নিচে সেই অ্যাপস এর নাম উল্লেখ্য করছি যথা-

(৪) ব্লগিং

মোবাইল দিয়ে অনলাইন থেকে টাকা আয় করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো মোবাইলে ব্লগিং করা। ব্লগিং মানে আপনি নিজের বা অন্যদের ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট লিখবেন। যেটা মোবাইল দিয়ে ১০০% সম্ভব। আমি নিজেও একজন ব্লগার। আমিও প্রথমে মোবাইল দিয়ে ব্লগিং শুরু করেছিলাম। পরে যখন আমি ব্লগিং করে ইনকাম করি তখন ল্যাপটপ ক্রয় করি। আপনি যদি ব্লগিং সম্পর্কে বিস্তরিত জানতে চান তাহালে নিচের আর্টিকেলটি পড়ুন।

(৫) ইউটিউব

আপনি সহজে মোবাইলের মাধ্যমে ইউটিউবে চ্যানেল তৈরি করে সেখানে ভিডিও পাবলিশ করতে পারবেন। আমাদের দেশে এমন অনেক বড় বড় ইউটিউবার রয়েছে যারা প্রথমে মোবাইল দিয়ে ইউটিউব এর কাজ করা শুরু করেছে। আপনিও চাইলে শুরু করতে পারেন। আপনি এন্ড্রয়েড মোবাইলের মাধ্যমে ভিডিও রেকাড, ভিডিও এডিটিং সব কিছু প্রফোসানাল ভাবে করতে পারবেন। আমি নিচে মোবাইলে সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার গুলোর নাম উল্লেখ করছি যথা- 

  1. PowerDirector
  2. KineMaster

ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার (Types of freelancing)

আপনাদের আগেই বলেছি ফ্রিল্যান্সিং একটি স্বাধীন পেশা। এই পেশায় কাজ করার জন্য আপনাকে কোনো কোম্পানিতে জব করার প্রয়োজন হবে না।

বরং, নিজে স্বাধীন ভাবে যেকেনো কোম্পানির সাথে যুক্ত হয়ে আপনার নিজের কাজের দক্ষতা অনুযায়ী কোম্পানি সেই কাজ গুলো করে দিতে পারবেন।

বর্তমান বিশ্বে এমন লাখ লাখ ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন যারা অনলাইনে কাজ করে অর্থ উপার্জন করছেন।

আজকের আর্টিকেলে আমি এমন কয়েকটি ফ্রিল্যান্সিং এর প্রকারভেদ সম্পর্কে আলোচনা করবো। যদিও এই কাজ গুলো করার জন্য আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ প্রয়োজন হবে।

১. কোডিং, ডেভেলপিং, প্রোগ্রামিং

কোডিং, প্রোগ্রামিং এবং ডেভেলপিং হলো সারা বিশ্বের একটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ। আপনি যদি কোডিং সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকে তাহলে সারা বিশ্বের বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানির ওয়েবসাইটের কাজ করে প্রচুর অর্থ আয় করতে পারবেন।

২. মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট

জাভা, কোডিং ল্যাঙ্গুয়েজ সম্পর্কে ভালো অভিজ্ঞতা থাকলে মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কাজ শুরু করতে পারেন।

তবে, মনে রাখবেন এখানে কিন্তু আপনার প্রচুর কোডিং অভিজ্ঞতার প্রয়েজন হবে। আপনাকে সকল ধরনের অ্যাপ তৈরি এবং ডেভেলপ করার অভিজ্ঞতা যদি থাকে তাহলে মার্কেটপ্লেসে সহজে কাজ পেয়ে যাবেন।

৩. এসইও (SEO) এক্সপার্ট

ফ্রিল্যান্সিং কাজের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় একটি কাজ হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO). এই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটকে গুগল সার্চ পেজের প্রথমে নিয়ে আসতে হয়।

এসইও সম্পর্কে আমাদের এই ব্লগে আর্টিকেল পাবলিশ করা আছে আপনারা সেটা পড়ে নিলে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

৪. গ্রাফিক্স ডিজাইন

পৃথিবীর জন্মলগ্ন থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ চলে আসতেছে। হয়তো প্রচীনকালে ডিজাইন করার কৌশল ছিলো ভিন্ন।

আপনার যদি আকাঁ-আকি করতে ভালো লাগলে তাহলে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কাজ শুরু করতে পারেন। অনলাইনে এই কাজের প্রচুর পরিমান।

তাছাড়া, আপনি যদি দক্ষ ডিজাইনার হতে পারেন তাহলে কাজের অভাব হবে না। তবে, এর জন্য আপনার ডিগ্রি, অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

৫. ফ্রিল্যান্সিং রাইটিং, কপিরাইটিং

বর্তমান সময়ে একজন ফ্রিল্যান্সিং রাইটারের মূল্য অনেক বেশি। এই কাজে আপনাকে বিভিন্ন কোম্পানির ডিজিটাল কনটেন্ট লিখতে হবে। 

আবার, আপনাকে অন্যের ব্লগ, আর্টিকেল, বই, ই-বুক, বিজ্ঞাপন কপি, রি-টাইপিং ইত্যাদি লিখতে হতে পারে। কম্পিউটার ল্যাপটপ বা মোবাইলে এই কাজ করতে পারবেন।

এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং অনেক প্রকারের কাজ রয়েছে মার্কেটপ্লেসে। যেমন - ব্র্যান্ডিং ও পি.আর, বুক কিপিং, ভার্চুয়াল অ্যাসিসটিং, এইচ.আর ম্যানেজমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, ক্যাড 3D মডেলিং ইত্যাদি।

জনপ্রিয় বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সিং সাইট

অনেকে জানতে চাইছেন বাংলাদেশী কোনো ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট আছে কিনা, যেখানে কাজ করে টাকা আয় করা যাবে।

নিচে বাংলাদেশের জনপ্রিয় কিছু ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে নাম উল্লেখ করেছি -

  • কাজ কি ডটকম
  • স্বাধীন কাজ ডটকম 
  • কাজ খুঁটি

আজকে আমরা কি শিখলাম

তাহালে বন্ধুরা আজকে আমরা শিখলাম মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার সেরা ৫ টি উপায় সম্পর্কে। এই আর্টিকেলটি আমার লেখার প্রধান কারণ হলো, অনকে আমার কাছে প্রশ্ন করে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়? বা ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো কোনো মাধ্যম আছে কিনা জানতে চাই। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিলাম। আমার লেখাটি ভালো লাগলে শেয়ার করবেন এবং ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে জানতে কমেন্টে প্রশ্ন করুন।

আপনারা আসলেই আজকের আইডিয়ার একজন মূল্যবান পাঠক। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো 2024 এর আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ ধন্যবাদ। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।

কোন মন্তব্য নেই
এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।

comment url