২০২৪ সালে আগামী বছর কোন ঈদ কত তারিখে হবে

আসসালামু আলাইকুম! ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা হলো দুটি ঐতিহ্যবাহী ও আনন্দময় উৎসব। প্রতিবছরই এই দুই ঈদে মুসলিম সম্প্রদায় একত্রিত হয়ে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেয়। এখন ২০২৩ সাল শেষ হতে এত দূর নেই, সবার মনেই প্রশ্ন জাগছে ২০২৪ সালে কবে ঈদ হবে? চলুন, আজকে সেই সম্ভাব্য তারিখগুলো জেনে নেওয়া যাক।

২০২৪ সালে আগামী বছর কোন ঈদ কত তারিখে হবে

ঈদুল ফিতর:

ইসলামী ক্যালেন্ডারের নবম মাস রমজান মাসের শেষে ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হয়। এই মাসে মুসলিমরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রোজা রাখেন এবং আধ্যাত্মিক চর্চায় মনোনিবেশ করেন। রমজান মাসের শেষে চাঁদ দেখার মাধ্যমে ঈদের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের মহাকাশ গবেষণা ও জ্যোতির্বিদ্যাবিষয়ক সংস্থা, আমিরাতস এস্ট্রোনোমি সোসাইটি, তাদের গণনা অনুযায়ী ২০২৪ সালে রমজান মাস শুরু হতে পারে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে এবং মধ্যপ্রাচ্যে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হতে পারে ১০ এপ্রিল। তবে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশগুলোতে চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে ঈদের তারিখ কিছুটা এগিয়ে-পিছিয়ে যেতে পারে। সঠিক তারিখ জানতে সরকারি ঘোষণার দিকে নজর রাখা উচিত।

ঈদুল আজহা:

ইসলামী ক্যালেন্ডারের দ্বাদশ মাস জিলহজ্জ মাসের দশম তারিখে ঈদুল আজহা পালিত হয়। এই দিনে হজ্জ পালনকারীরা পবিত্র কাবাঘরের চত্বরে পশু কোরবানি করেন। আর বিশ্বব্যাপী মুসলিমরা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন ও ইব্রাহিম (আ.)-এর আত্মত্যাগের স্মরণে কোরবানি দিয়ে ঈদ উদযাপন করেন।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ঈদুল আজহা পড়তে পারে ১০ জুলাই তারিখে। তবে সবার মতো এ ক্ষেত্রেও চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে ঈদের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। সরকারিভাবে চাঁদ দেখার পর ঈদের তারিখ ঘোষণা করা হবে।

ঈদ উপলক্ষে কিছু প্রস্তুতি:

  • ঈদের পোশাক, জুতা, ইত্যাদি কেনাকাটা।
  • কোরবানির পশু কেনা ও ঈদের আগে পশুর যত্ন নেওয়া।
  • ঈদের নামাজ পড়ার জন্য প্রস্তুতি।
  • আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়।
  • অভাবীদের মাঝে ঈদের খাবার ও অন্যান্য জিনিসপত্র বিতরণ।

২০২৪ সালের রোজার ঈদ বা ঈদুল ফিতর এবং কোরবানির ঈদ বা ঈদুল আযহা কত তারিখে হবে

মুসলিমদের দুটি প্রধান ধর্মীয় উৎসব হলো ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা। ঈদুল ফিতর রমজান মাস শেষে পালিত হয় এবং ঈদুল আযহা হজের সময় পালিত হয়। ২০২৪ সালের এই দুটি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন রয়েছে। এই ব্লগ পোস্টে আমরা আলোচনা করবো ২০২৪ সালের রোজার ঈদ ও কোরবানির ঈদ কত তারিখে হবে।

ঈদুল ফিতর:

  • মধ্যপ্রাচ্য: ১০ এপ্রিল, ২০২৪
  • বাংলাদেশ: ১১ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদুল আযহা:

  • মধ্যপ্রাচ্য: ১৬-১৮ জুলাই, ২০২৪
  • বাংলাদেশ: ১৭-১৯ জুলাই, ২০২৪

দ্রষ্টব্য:

  • এই তারিখগুলি সম্ভাব্য এবং চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে পরিবর্তন হতে পারে।
  • বাংলাদেশে ঈদের দিনক্ষণ জাতীয় ঈদ কমিটি চাঁদ দেখার পর ঘোষণা করে।
  • মধ্যপ্রাচ্যে ঈদের দিনক্ষণ সৌদি আরবের সর্বোচ্চ আদালত চাঁদ দেখার পর ঘোষণা করে।

২০২৫ সালের রোজার ঈদ বা ঈদুল ফিতর এবং কোরবানির ঈদ বা ঈদুল আযহা কত তারিখে হবে

মুসলমানদের দুটি প্রধান ধর্মীয় উৎসব হল ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা। প্রতি বছরই এই দুই ঈদ বিশ্বব্যাপী ধুমধাম করে পালিত হয়। ২০২৫ সালের ঈদের তারিখ সম্পর্কে অনেকেই জানতে আগ্রহী। এই ব্লগ পোস্টে আমরা আলোচনা করব ২০২৫ সালের ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা কত তারিখে পড়বে।

ঈদুল ফিতর:

  • শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে:
  • প্রথম দিন: 23 এপ্রিল, 2025 (বৃহস্পতিবার)
  • দ্বিতীয় দিন: 24 এপ্রিল, 2025 (শুক্রবার)
  • সৌদি আরবের হিসাব অনুযায়ী:
  • প্রথম দিন: 22 এপ্রিল, 2025 (বুধবার)
  • দ্বিতীয় দিন: 23 এপ্রিল, 2025 (বৃহস্পতিবার)

ঈদুল আযহা:

  • জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে:
  • আরাফাতের দিন: 10 জুন, 2025 (মঙ্গলবার)
  • ঈদের দিন: 11 জুন, 2025 (বুধবার)
  • সৌদি আরবের হিসাব অনুযায়ী:
  • আরাফাতের দিন: 9 জুন, 2025 (সোমবার)
  • ঈদের দিন: 10 জুন, 2025 (মঙ্গলবার)
দ্রষ্টব্য:

  • চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ঈদের তারিখ পরিবর্তিত হতে পারে।
  • সৌদি আরব সরকার যে তারিখ ঘোষণা করবে, অনেক মুসলিম দেশ সেই তারিখ অনুযায়ী ঈদ পালন করে।

২০২৬ সালের রোজার ঈদ বা ঈদুল ফিতর এবং কোরবানির ঈদ বা ঈদুল আযহা কত তারিখে হবে

ঈদ হলো মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দুটি ধর্মীয় উৎসব। প্রতি বছর রমজান মাস শেষে রোজার ঈদ এবং হজের পর কোরবানির ঈদ পালিত হয়। ২০২6 সালের ঈদের তারিখ সম্পর্কে অনেকের মনেই প্রশ্ন রয়েছে। এই ব্লগ পোস্টে আমরা সেই প্রশ্নের উত্তর দেব।

২০২৬ সালের ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার তারিখ:

ঈদুল ফিতর:

  • ইসলামী হিসাব অনুযায়ী: ১৪৪৮ হিজরীর শাওয়াল মাসের ১ তারিখ।
  • সম্ভাব্য তারিখ: 2026 সালের 22 এপ্রিল (মঙ্গলবার)।

ঈদুল আযহা:

  • ইসলামী হিসাব অনুযায়ী: ১৪৪৮ হিজরীর জিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখ।
  • সম্ভাব্য তারিখ: 2026 সালের 10 জুলাই (শুক্রবার)।

দ্রষ্টব্য:

  • উপরোক্ত তারিখগুলি সম্ভাব্য এবং চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।
  • চূড়ান্ত তারিখ নির্ধারণের জন্য বাংলাদেশের ইসলামী ফাউন্ডেশনের ঘোষণা অনুসরণ করুন।

২০২৭ সালের রোজার ঈদ বা ঈদুল ফিতর এবং কোরবানির ঈদ বা ঈদুল আযহা কত তারিখে হবে

মুসলমানদের দুটি প্রধান ধর্মীয় উৎসব হল রোজার ঈদ (ঈদুল ফিতর) এবং কোরবানির ঈদ (ঈদুল আযহা)। প্রতি বছর হিজরি বর্ষপঞ্জিকা অনুযায়ী এই দুটি ঈদের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। ২০২৭ সালের ঈদের তারিখ সম্পর্কে অনেকের মনেই প্রশ্ন রয়েছে। এই ব্লগ পোস্টে আমরা আলোচনা করবো ২০২৭ সালের রোজার ঈদ ও কোরবানির ঈদ কত তারিখে হবে।

ঈদুল ফিতর:

  • রমজান মাস শুরু: ২০২৭ সালের ৮ই মার্চ (বুধবার)
  • চাঁদ দেখা: ২০২৭ সালের ২৮শে এপ্রিল (শুক্রবার)
  • ঈদুল ফিতর: ২০২৭ সালের ২৯শে এপ্রিল (শনিবার)

ঈদুল আযহা:

  • হজের দিন: ২০২৭ সালের ২২শে জুন (বৃহস্পতিবার)
  • ঈদুল আযহা: ২০২৭ সালের ২৩শে জুন (শুক্রবার)

দ্রষ্টব্য:

  • উপরে উল্লেখিত তারিখগুলি হিজরি ক্যালেন্ডারের উপর ভিত্তি করে অনুমান করা হয়েছে। চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে ঈদের তারিখ পরিবর্তিত হতে পারে।
  • বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক চাঁদ দেখার পর ঈদের আনুষ্ঠানিক তারিখ ঘোষণা করা হবে।

২০২৮ সালের রোজার ঈদ বা ঈদুল ফিতর এবং কোরবানির ঈদ বা ঈদুল আযহা কত তারিখে হবে

মুসলিমদের দুটি প্রধান ধর্মীয় উৎসব হল ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা। প্রতি বছর, এই উৎসবগুলি বিশ্বজুড়ে মুসলমানরা উদযাপন করে। ২০২৮ সালের এই দুটি ঈদের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

ঈদুল ফিতর:

  • বাংলাদেশ: ২০২৮ সালের ঈদুল ফিতর ২৩শে মার্চ (বৃহস্পতিবার) পালিত হবে।
  • সৌদি আরব: ২০২৮ সালের ঈদুল ফিতর ২২শে মার্চ (বুধবার) পালিত হবে।

ঈদুল আযহা:

  • বাংলাদেশ: ২০২৮ সালের ঈদুল আযহা ১০ই জুলাই (সোমবার) পালিত হবে।
  • সৌদি আরব: ২০২৮ সালের ঈদুল আযহা ৮ই জুলাই (শনিবার) পালিত হবে।

দ্রষ্টব্য:

  • ঈদের তারিখ চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে, তাই সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
  • উপরে উল্লেখিত তারিখগুলি বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের জন্য। অন্যান্য দেশের ঈদের তারিখ তাদের নিজস্ব চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে।

২০২৯ সালের রোজার ঈদ বা ঈদুল ফিতর এবং কোরবানির ঈদ বা ঈদুল আযহা কত তারিখে হবে

ঈদ মুসলিমদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি ধর্মীয় উৎসব। রমজান মাস শেষে পালিত হয় রোজার ঈদ, যা ঈদুল ফিতর নামেও পরিচিত। অন্যদিকে, হজের পর পালিত হয় কোরবানির ঈদ, যা ঈদুল আযহা নামেও পরিচিত।

ঈদুল ফিতর:

  • শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে:
  • ১০ই মে, ২০২৯ (বৃহস্পতিবার)
  • ১১ই মে, ২০২৯ (শুক্রবার)

ঈদুল আযহা:

  • জিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে:
  • ২৯শে জুন, ২০২৯ (শুক্রবার)
  • ৩০শে জুন, ২০২৯ (শনিবার)

দ্রষ্টব্য:

  • উপরে উল্লেখিত তারিখগুলি চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।
  • বাংলাদেশের জাতীয় ঈদ মোবারক কমিটি চাঁদ দেখার পর ঈদের দিনক্ষণ নির্ধারণ করে।

২০৩০ সালের রোজার ঈদ বা ঈদুল ফিতর এবং কোরবানির ঈদ বা ঈদুল আযহা কত তারিখে হবে

মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি ঈদ হল ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা। ঈদুল ফিতর রমজান মাস শেষে পালিত হয় এবং ঈদুল আযহা হজের সময় পালিত হয়। ২০৩০ সালে রমজান মাস দুবার আসবে। ফলে ঈদুল ফিতর দুবার এবং ঈদুল আযহা একবার পালিত হবে।

ঈদুল ফিতর:

  • প্রথম ঈদুল ফিতর: 26 জানুয়ারী 2030 (শনিবার)
  • দ্বিতীয় ঈদুল ফিতর: 23 ডিসেম্বর 2030 (শুক্রবার)

ঈদুল আযহা:

  • ঈদুল আযহা: 10 আগস্ট 2030 (শনিবার)

দ্রষ্টব্য:

  • উপরোক্ত তারিখগুলি হিজরি ক্যালেন্ডারের উপর ভিত্তি করে অনুমান করা হয়েছে। চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে ঈদের দিনক্ষণ 1-2 দিন এগিয়ে বা পিছিয়ে যেতে পারে।
  • 2030 সালে দুটি রমজান মাস পালিত হবে। 5 জানুয়ারী 2030 থেকে 4 ফেব্রুয়ারী 2030 পর্যন্ত প্রথম রমজান মাস এবং 26 ডিসেম্বর 2030 থেকে 24 জানুয়ারী 2031 পর্যন্ত দ্বিতীয় রমজান মাস।

উপসংহার

ঈদ আনন্দের উৎসব। এই উৎসবকে আরও আনন্দময় ও সুন্দরভাবে পালন করার জন্য আমাদের সকলের উচিত প্রস্তুতি নেওয়া। ঈদের দিন সকলে মিলে আনন্দ উদযাপন করুন, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করুন এবং অভাবীদের পাশে দাঁড়ান।
Next Post Previous Post
No Comment
এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।

comment url